সাহিত্যে ক্রিকেট ও ক্রিকেট সাহিত্য

ইংল্যান্ডের জেসন রয় ও বেয়ারস্টো ব্যাট হাতে মাঠে নামছেন। দ্বিপ্রাহরিক ভাতঘুম শিকেয় তুলে আমিও জাঁকিয়ে বসে চোখ রেখেছি টিভির পর্দায়। মনে ঘুরঘুর করছে আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে দুরমুশ করার সুখস্মৃতি। মাশরাফি, সাকিব, সাইফউদ্দিন, মোস্তাফিজরা সলা ও পরামর্শ সেরে আরও একটা চমক দেখানোর জন্য প্রস্তুত। গোটা দেশ উত্তেজনায় টান টান। ঠিক এমনই সময় আমার মনে ননীদার মুখটা ভেসে উঠল।

ননীদা হলেন কলকাতার ক্রিকেট ক্লাব অব হাটখোলা, সংক্ষেপে যা ‘সিসিএইচ’, তার প্রাণ। মতি নন্দীর ননীদা নট আউট উপন্যাসের নায়ক।

উপন্যাস শুরু হচ্ছে কলকাতা ময়দানে সিসিএইচ ক্লাবের ক্রিকেট পিচ তৈরির কাহিনি নিয়ে। উৎকলবাসী হেড মালি দুর্যোধন মহাপাত্র ঘাসবিহীন উইকেটের দিকে গর্বভরে চেয়ে বলল, ‘কী একখানা পিচো বনাইছি দেখো ননীবাবু, লড়ি চালাই দাও কিছু হবেনি। ’ শুনে গম্ভীর মুখে ননীদা বললেন, ‘ক্রিকেট লরি ড্রাইভারদের খেলা নয় দুর্যোধন। ’

ওই কথা শুনে দুর্যোধন বলল, ‘মো কি সে কথা বলিছি। গত বৎসর আপোনি বলিলেন, কড়া ইস্তিরি-করা শার্টের মতো পেলেন পিচ না হলি ব্যাটোসম্যান স্টোরোক করি খেলবি কেমনে? তাই এ বছর ইস্তিরির মতো করি রোলার টানছি। ’

ননীদা আরও গম্ভীর মুখে বললেন, ক্রিকেট ধোপাদের খেলা নয়।

দুর্যোধন ঘাবড়ে গেল। ক্ষুণ্নও হলো। বলল, ‘গত বৎসরের আগের বৎসর বলিলেন, কী পিচ বানাইছিস, এ যে খেতি জমি, ধান ছড়াই দিলি গাছো হই যাবে। ’

ননীদার মন্তব্য, ‘ক্রিকেট চাষাদেরও খেলা নয় দুর্যোধন। ’

এবার দুর্যোধন ভ্রু কুঁচকে বিরক্ত চোখে ননীদার ভাবলেশহীন মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘কিরিকেট তবে কারা খেলে? ’ ‘ভদ্রলোকেরা। ক্রিকেটের পিচ হবে স্পোর্টিং। বোলার আর ব্যাটসম্যানকে ফিফটি-ফিফটি সুযোগ দেবে। ’

সিসিএইচের ঘিরে রাখা পিচের দিকে আনমনে হেঁটে আসছিল কজন। সন্ধ্যার আলো-আঁধারিতে তাদের পক্ষে দড়ি দিয়ে ঘিরে রাখা পিচ ঠাওর হওয়ার কথা নয়। কিন্তু ননীদার নজর এড়ায়নি। হা হা করে সেদিকে ছুটে গেলেন, ‘বাইরে দিয়ে, বাইরে দিয়ে। বাহারসে যাইয়ে। ইহা ক্রিকেট দেবতাকা পূজা হোগা। ’

শুনেই লোকগুলো অবনত মস্তকে পিচের উদ্দেশে করজোড়ে প্রণাম করে মহামেডান মাঠের বেড়া ঘেঁষে হাইকোর্ট মাঠের দিকে চলে গেল, সম্ভবত চিড়িয়াখানা কি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের দিকে।

ননীদা ফিরে এসে টিমের বোলারদের বললেন, ওই লোকগুলোকে যদি বলতাম এখানে ক্রিকেট খেলার পিচ তৈরি হচ্ছে, এর ওপর দিয়ে হাঁটাচলা করলে পিচের বারোটা বেজে যাবে, ওরা তখন জানতে চাইত খেলাটা কী রকম। পিচই–বা কী। পিচ তৈরিতে কেন এত যত্ন নিতে হয়, কেন ঘিরে রাখতে হয়। খামোখা অনেক সময় খরচ হতো। তা না করে চটপট বিদেয় করলাম। ব্যাটসম্যানকে কখনো সেটল হতে দেবে না বুঝলে। সব সময় চেষ্টা করবে জাঁকিয়ে বসার আগেই বিদেয় করতে। ব্যাটসম্যান যত সেটল হবে, তত বেশি রান উঠবে। খেলাটাও হাতের বাইরে চলে যাবে।

বাংলা ভাষায় ক্রিকেট সাহিত্যে নতুন ধারার জন্ম দিয়েছিলেন মতি নন্দী। ননীদা নট আউট তাঁর িবখ্যাত ক্রিকেট উপন্যাসএকটার পর একটা ওভার কেটে যাচ্ছে, ইংল্যান্ডের স্কোরবোর্ডও সচল। ননীদার কথাগুলো ঘুরপাক খাচ্ছে। কুড়িতম ওভারে ইংল্যান্ডের প্রথম ছন্দপতন। ৫০ বলে ৫১ করে বেয়ারস্টো ফিরে গেলেন মাশরাফির বলে। সঙ্গে করে নিয়ে গেলেন বাংলাদেশের ভাগ্যও।

ক্রিকেট নিয়ে লেখালেখি সব ভাষাতেই অন্তহীন। ইংরেজি ভাষায় ক্রিকেট তো সেই কবে থেকেই চরিত্র। চার্লস ডিকেন্স-এর দ্য পিকউইক পেপারস-এ ম্যাচ শুরুর বর্ণনার খানিকটা না-দেওয়ার লোভ সামলাতে পারছি না। খেলা অল মাগলটন-এর সঙ্গে ডিংলি ডেল-এর। ডিকেন্স লিখেছেন, ‘ডামকিনস ও পোডডার মাঠে নামলেন। হাতে ব্যাট। তারা যে যার উইকেটের দিকে এগিয়ে গেলেন। বল হাতে লুফি প্রস্তুত। ফিল্ডাররাও হাঁটুর ওপর হাত রেখে ঝুঁকে দাঁড়িয়ে। আম্পায়াররা নিজেদের স্থানে। স্কোরাররা খাতা ও কলম নিয়ে তৈরি। মাঠজোড়া এক অদ্ভুত নৈঃশব্দ্য। পোডডারের পাশ দিয়ে লুফি কয়েক কদম পিছিয়ে গেলেন। বলটা হাতে নিয়ে ডান চোখের ওপর কিছু সময় ধরে থাকলেন। ডামকিনসের নজর লুফির চোখে স্থির।

 ‘“প্লে” শব্দটা শোনামাত্র বলটা উড়ে গেল সোজা মিডল স্টাম্পের দিকে। ডামকিনসের ব্যাটের ডগায় লেগে ফিল্ডারের মাথা টপকে গেল। বাউন্ডারির দিকে বল যাচ্ছে, শোনা গেল “রান রান, আরেকটা, আরেকটা, ধর ধর, বলটা ধর, ছোঁড়” এই ধরনের আওয়াজ। ডামকিনস ও পোডডার যেন অজেয়। ছাড়ার বল তারা ছাড়লেন, মারার বল পাঠালেন মাঠের যত্রতত্র। বোলাররা ক্রমেই ক্লান্ত বোধ করলেন। হাতব্যথায় টনটন করে ওঠা পর্যন্ত তারা বল করে গেলেন। ডামকিনস ও পোডডার যখন যথাক্রমে ক্যাচ ও স্টাম্পড আউট হলেন, অল মাগলটনের স্কোর তখন ৫৪। ’

বাংলা সাহিত্যের চিরস্মরণীয় বিনয় মুখোপাধ্যায় ‘যাযাবর’ ছদ্মনামে বেশি পরিচিতি পেয়েছেন। আমবাঙালির কাছে ক্রিকেটকে জনপ্রিয় করতে তিনি লিখলেন, ‘পাড়াগাঁয়ের ছেলেরা পাঠশালা থেকে বাড়ি ফেরার সময় ঢিল ছুড়ে পেয়ারা পাড়ে। যাদের তাক খুব নির্ভুল, তারা ঢিল ছুড়লেই পেয়ারা বোঁটা ছিঁড়ে টুপ করে তলায় পড়ে। আবার, কারওবা ঢিল ছোড়াই সার হয়। কারণ, পেয়ারার গায়ে লাগাতে প্রথমে ঢিলটাকে উপযুক্ত দূরত্বে ছোড়া চাই। এই দূরত্বকে ইংরেজিতে বলে লেংথ। আর চাই নিশানা। ইংরেজিতে তাকে বলে ডিরেকশন। ডিরেকশন ঠিক না হলে লেংথ উপযুক্ত হলেও ঢিল পেয়ারাটার ডাইনে বা বাঁয়ে গিয়ে পড়বে, তার গায়ে লাগবে না। বোলিং আসলে ঢিল ছোড়ারই রকমফের।

ক্রিকেট শেখানোর দায় বা দায়িত্ব অবশ্য শঙ্করীপ্রসাদ বসুর ছিল না। রমণীয় ক্রিকেট-এ মেয়েদের ক্রিকেটপ্রেম নিয়ে লিখে পরে বুঝেছিলেন, সেটা হয়েছিল ঘোর ‘অবিবেচকের কাজ’। যদিও ক্রিকেটকেন্দ্রিক রস-রচনা ছাড়া সেটি অন্য কিছু ছিল না।

রচনাটা এই রকমের: ‘দুটি মেয়েতে কথা হচ্ছে গ্যালারিতে বসে। মেয়ে দুটি সাজগোজ করে এসেছে। তারা শুনেছে, কলকাতায় ইদানীং ক্রিকেট নাগরিকতার একটা অঙ্গ। তাই বাধ্য হয়েছে আসতে। মেয়েদের নিজস্ব এক ধরনের বিস্ময় ও শিহরণ মেশানো “ঈ” ও “কী”-র মাঝামাঝি তীক্ষ্ণ কাকলি আছে, বহুবার তার দ্বারা সচকিত সচঞ্চল করেছে আশপাশের ক্রিকেট–রসিকদের। দিনের খেলা শেষ। মাঠের উপর ছায়া নেমেছে। পাঁচ দিনের টেস্ট খেলার প্রথম দিনের সমাপ্তি। তখন আসন্ন অন্ধকারের ধূসর আলোতে মাথার দোলনে একটি মেয়ের কানের হিরে ঝিকিয়ে উঠল, আর একটি মধুর বিস্ময়ভরা প্রশ্ন শোনা গেল, আচ্ছা ভাই, কোন দল জিতল বল তো? ’নিছক ক্রিকেট রিপোর্টিংকে সাহিত্য ও শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন চিরস্মরণীয় নেভিল কার্ডাস, স্যার ডন ব্র্যাডম্যান সম্পর্কে যাঁর উক্তি, ‘…হি চেঞ্জড ব্যাটসম্যানশিপ ইন্টু অ্যান একজ্যাক্ট সায়েন্স, বাট আ সায়েন্স উইথ আ ডিফারেন্স; হি ডোয়ার্ফড প্রেসেডেন্ট অ্যান্ড নোন ভ্যালুজ। ’ কিন্তু রিপোর্টিং বাদ দিয়েও নানা দেশে ক্রিকেট হয়ে উঠেছে জীবনের অঙ্গ। মালগুড়ি ডেজখ্যাত আর কে নারায়ণ কিংবা ভারতীয় বংশোদ্ভূত ভি এস নাইপল অথবা হালের চেতন ভগত, নিজের নিজের সময়ের ক্রিকেটকে করে তুলেছেন তাঁদের নানাবিধ উপন্যাসের অন্যতম প্রধান উপাদান। উদারনীতি ও বিপণনের হাত ধরে ক্রিকেটের এই বহুরূপী হয়ে ওঠা চিত্রায়িত করেছিলেন শঙ্করীপ্রসাদ বসু। সুপারহিট ক্রিকেটিলায় তিনি লিখছেন, ‘…কী ছিল, আর কী হলো! ছিল পাঁচ দিনের ক্রিকেট, রুগ্‌ণ হয়ে সেটি টিকে রইল বটে, কিন্তু বাজার মাত করল একদিনের ধড়পড়ে কাণ্ড। এখন আর পাঁচ দিনের পাঁচপাকে বাঁধা সম্পর্ক নয়, এখন প্রতিদিনের মালাবদল। একমাত্র এই খেলাকে নিয়েই সাহিত্য তৈরি হয়েছে। সাহিত্যের মূলে থাকে জীবন। সেই জীবনে থাকা চাই উত্তেজনার সঙ্গে গাঢ় আবেগ ও সঘন ধীরতার সুষম বিন্যাস। ক্রিকেটে তা মেলে। মহান অনিশ্চয়তা তার সর্বাঙ্গে। মেয়েদের মন ও পুরুষের ভাগ্যের মতো ক্রিকেটের চরিত্র দেবতাদেরও অজ্ঞাত।… এখন হিসেবি উত্তেজনা। এখন ঘড়ির খেলা আর কড়ির খেলা। ওভার মেপে, ঘড়ি ধরে বলতে হবে, ওহে ব্যাটধারী, এইবার তুমি ঠ্যাঙাড়ে হও, খেপে যাও, এসে গেছে ধ্যাতানি পর্ব (স্লগ ওভারস)। এখন, মারকাটারি, ধুন্ধুমার। নবমীর পাঁঠাবলি। ড্যাডাং ড্যাডাং পাঁঠা পড়ছে আর রক্তপাগল ভক্তরা হিংস্র উল্লাসে মাঠ কাঁপাচ্ছে। ’

এই রকমফের সত্ত্বেও কিছু কিছু মানুষ রয়ে গেছেন, আদি ও অকৃত্রিমের বাইরে যাঁরা যেতে চাননি। যেমন পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্ট নেতা সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত অশোক মিত্র। ‘আমি ভদ্রলোক নই, আমি কমিউনিস্ট’ বলা এই মানুষটি ‘ভদ্রলোকের খেলা’ ক্রিকেটে আমৃত্যু নিমজ্জিত ছিলেন। ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ এখনো মজে আছেন ক্রিকেটের মাধুর্যে। আইপিএলে খেলার জন্য শিল্পপতি বিজয় মালিয়া (বর্তমানে দেশত্যাগী) যখন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মালিকানা পেলেন, রামচন্দ্র গুহ তখন পড়লেন এক অদ্ভুত দোটানায়। ২০১৩ সালে ‘নো গেম ফর গুড মেন’ নিবন্ধে লেখেন, ‘ক্রিকেটের এক নতুন ফরম্যাট ও নতুন ক্লাব মাথাচাড়া দেয় আমার জীবন ও আমার শহরে। আমি এক জটিল ভাবনায় আচ্ছন্ন হই। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর প্রতি কি অনুগত হব? অনেক ভেবে দেখলাম, না। হব না। কারণ, প্রমোটারকে আমার পছন্দ নয়। বিজয় মালিয়া কোনো দিন ক্রিকেট খেলেননি। তেমনভাবে ক্রিকেট দেখেনওনি। ক্রিকেটের টেকনিক ও ইতিহাস কিছুই জানেন না। ইগো, গ্ল্যামার ও সেলিব্রিটিদের দেখে তিনি এই খেলার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন। ’

রামচন্দ্র গুহ একবারের জন্যও চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে যাননি আইপিএল ম্যাচ দেখতে।

বাংলা সাহিত্যে ক্রিকেট দিয়েই লেখাটা শেষ করি। যুগ পাল্টেছে। টিভির স্ক্রিন এখন ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের ডিসেকশন টেবিল। ক্যামেরা ও সাবেক ক্রিকেটাররা যখন প্রতিটি বল কাটাছেঁড়া করছে, তখন প্রভাতি দৈনিকের রিপোর্ট কী রকম হবে? তিরিশ বছর আগে সেই দোলাচল বিভ্রান্ত করেছিল মতি নন্দীর দ্বিতীয় ইনিংসের পর উপন্যাসের নায়ক সাবেক ক্রিকেটার বর্তমানে সাংবাদিক সরোজকে। সে কানপুর গেছে ভারত-নিউজিল্যান্ড টেস্ট কভার করতে। শঙ্কর সহ–সাংবাদিক। তার প্রতি অবচেতনে বিতৃষ্ণা ঘনিয়ে উঠেছে সরোজের। কারণ, ‘ছেলেটি সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেট বোঝে না। অথচ সে জন্য কোনোরকম জড়তা বা কুণ্ঠা ওর মধ্যে নেই। ও এসেছে ঝগড়াঝাঁটি, রসালো কথাবার্তা, অপ্রীতিকর ঘটনা অর্থাৎ কেচ্ছা জোগাড় করার জন্য। সেসব খবর তারিয়ে তারিয়ে পাঠকরা পড়বে, যেসব খবরের সঙ্গে খেলার মূল উদ্দেশ্য বা প্রেরণার কোনো সম্পর্ক নেই। কাগজের বিক্রি বাড়ানোর এই পন্থা সরোজ কখনো মেনে নিতে পারেনি। ইদানীং এই পথে অনেকেই যাচ্ছে, সরোজের যাওয়ার ইচ্ছা নেই। খেলার মাঠে খেলা হচ্ছে, তুমি দেখছ, খেলার দোষত্রুটি, ভালোমন্দ যা দেখলে সেটাই তোমার রিপোর্ট করার বিষয়। কিন্তু কী একটা হাওয়া যেন আসছে, শুধু মাঠের মধ্যে খেলা নয়, তার আড়ালে যে জগৎ রয়েছে তার খবরও প্রকাশ্যে টেনে আনা দরকার হয়ে পড়ছে। এটাও নাকি জরুরি ঘটনা। সরোজ এই ধরনের খবর সংগ্রহের বিরোধী। সে শুনেছে, আড়ালে তার সম্পর্কে “মান্ধাতাপন্থী… নীতিবাগীশ… আধুনিক রিপোর্টিংয়ের কিসসু জানে না”—এসব বলাবলি হয়। এ–ও শুনেছে, জার্নালিজম যেখানে এসেছে, তাতে ও এখন হলে চাকরিই পেত না। টোটালি মিসফিট। ’

ক্রিকেট বদলেছে। সাহিত্যও। দুই বাংলার পাড়ায় পাড়ায় ননীদারা কিন্তু আজও ক্রিকেট-অন্তঃপ্রাণ হয়ে টিকে রয়েছেন। জহুরির চোখ নিয়ে খুঁজে যাচ্ছেন হবু ক্রিকেটারদের। উপদেশ দিচ্ছেন, ব্যাটসম্যানকে থিতু হতে দিয়ো না।

সাকিব, মাশরাফি, সাইফউদ্দিন, মোস্তাফিজসহ টিম বাংলাদেশ কি ননীদার উপদেশটা শুনতে পাচ্ছে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *