সাভারে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজিকে বেধড় পিটিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় সবজি খেতে ফেলে রেখে গেছে আপন চাচা 

সাভারে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজিকে পিটিয়ে সবজি খেতে ফেলে রেখে গেছে আপন চাচা     

নিউজ হাঁট ডেস্ক :

সাভারের রাজফুলবাড়ীয়া এলাকায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আপন ভাতিজি সুমী আক্তার (৩৫)’কে বেধড় পিটিয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় পাশের সবজি খেতে ফেলে রেখে গেছে তারই আপন চাচা খেজমত আলী (৪৫) ও তার সন্ত্রাসী গ্রুপ। ঘটনার পর  সুমীর গুঙ্গানীর শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে।দু’পা ও এক হাতে  প্লাস্টার জড়ানো এবং সমস্ত শরীরে আঘাতের যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালের বেডে মৃত্যু যন্ত্রণায় ভুগছেন  সুমী।

শনিবার  (৭ নভেম্বর ২০২০)  রাতে সাভার উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের রাজফুলবাড়ী ছাগীপাড়া রামচন্দ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সুমীর বাবা কদম আলী সাভার মডেল থানায় পরিচয়ধারী ৭ জনকে এবং অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত আসামীদের মধ্যে ২ আসামীকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের রাজফুলবাড়ীয়া ছাগীপাড়া রামচন্দ্রপুর গ্রামের সুমীর আপন চাচা খেজমত আলী (৪৫) ও অপরজন একই গ্রামের মেহেদী হাসান অপু (২২)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে সুমীর বাবা কদম আলীর সাথে তারই আপন ভাই খেজমত আলীর বছর ধরেই বিরোধ চলে আসছিলো। কদম আলী লেখাপড়া না জানলেও তার মেয়ে সুমী আক্তার (৩৫) লেখাপড়া জানায় সে তার বাবার জমির কাগজপত্র ভালো বুঝতো। আর তা মোটেও ভালো চোখে দেখতো না চাচা খেজমত আলী ও তার ছেলেরা। সে কারণেই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রাতে খেজমত আলী তার ছেলে ও সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে কদম আলীর বাড়ী সংলগ্ন গরুর ফার্মে হামলা চালিয়ে সুমীকে একা পেয়ে তাকে বেধড় পিটিয়ে পাশের সবজি খেতে ফেলে রেখে যায়। পরে মানুষের গুঙ্গানীর শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় সবজি খেতে পড়ে থাকা সুমীকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এনাম মেডিকেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সন্ত্রাসী হামলায় সুমীর দু’পা ও এক হাত ভেঙ্গে যায়।  

আহত সুমীর বাবা কদম আলী জানান, পৈত্রিক সম্পত্তি ছাড়াও তিনি তার মায়ের নিকট থেকে সম্পত্তি কিনে নেওয়ায় তার সম্পত্তি অন্য ভাইদের চেয়ে বেশী, যা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলোনা ভাইয়েরা। কদম আলীর অভিযোগ তার আপন ভাই খেজমত আলী ও তার ছেলে সন্ত্রাসীদের নিয়ে তার মেয়ে সুমীকে মেরে ফেলবার জন্যই রাতে হামলা চালিয়েছে এবং বেধড় পিটিয়ে মৃত ভেবে ফেলে রেখে গেছে। তার মেয়ে সুমী শিক্ষিত হওয়ায় জমির কাগজপত্র ভালো বুঝতো, সে কারণেই সুমীর চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা তার উপর ক্ষিপ্ত ছিলো।

সাভার মডেল থানা পুলিশ ইন্সপেক্টর  তদন্ত সাইফুল ইসলাম জানান, ভোক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া মামলার ২ আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং মামলার অন্য আসামীদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

সাভার

১২.১১.২০২০

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *