মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে
সাভার উপজেলার আশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে
নিউজ হাঁট ডেস্ক:
সাভারের আশুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং তার সহদরোর নামে মসজিদ ও ইয়াতিম খানার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। আশুলিয়ার খেজুরবাগান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, মসজিদুন নূরের ইমাম মুফতি মাসউদ মুস্তফা বুধবার (৩০ জুন) আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাদবর,তার আপন ভাই মো. আশরাফ উদ্দিন মাদবর ও তার ভগ্নিপতি মো.মজিবর।অভিযোগে মসজিদের টাকা আত্মসাত ও ইমাম কে হুমকির ব্যাপার উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে, মুসল্লিদের কাছ থেকে উঠানো দানের টাকার বিষয়ে হিসাব চেয়ে সবাইকে তা জানিয়ে দিতে বলেন মসজিদের ইমাম মুফতি মাসউদ মুস্তফা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন মাদবরের ছোট ভাই আশরাফ উদ্দিন মাদবর মসজিদের ইমামকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখানোসহ অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন।
এ ব্যাপারে মুফতি মাসউদ মুস্তফা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ওয়ান টাইম রশিদে মুসুল্লিদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে আসছিল তারা। আমি ওয়ান টাইম রশিদ বাদ দিয়ে কার্বন কপি যুক্ত রশিদে টাকা জমা রাখার কথা বলি। এবং প্রত্যেক সপ্তাহে সকল মুসুল্লিদের সামনে অর্থের হিসাব পরিস্কার করতে বলি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান এবং তার ভাই আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এমনকি আমাকে যারা সাহায্য করবে তাদেরকেও হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয় তারা। আমি নিরুপায় হয়ে মুসুল্লিদের দানের টাকা রক্ষা ও আমার জীবনের নিরাপত্তার জন্য আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হয়েছি।এ সময় তিনি জানান, চেয়ারম্যান অনেক প্রভাবশালী। আমাকে পেলে ওরা মেরে ফেলবে। বিভিন্ন মানুষকে দিয়ে ফোন করাচ্ছে। আমি এখন পালিয়ে গা ঢাকা দিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক মুসল্লী বলেন, আশরাফ উদ্দিন মাদবর আমাদের মসজিদের উপদেষ্টা। উনি যখন যে সিদ্ধান্ত নেন তাই আমাদের মেনে নিতে হয়। শাহাবুদ্দিন চেয়ারম্যানের ভাই দেখে কেউ তাকে কোনো কথা বলার সাহস পায়না।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ–পরিদর্শক(এস আই) ফরহাদ বিন করিম বলেন, অভিযোগের কপি হাতে পাওয়ার পর এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
সাভার
০২.০৭.২০২১
(নেট নিউজ ও জিডি কপি)