প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে ইফতারের খাবার নিয়ে অসহায় রোজাদারদের মাঝে হাজির হলেন সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব

প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে ইফতারের খাবার নিয়ে অসহায় রোজাদারদের মাঝে হাজির হলেন

                          সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব

নিউজ হাঁট ডেস্ক : 

প্রচন্ড ঝড়, বৃষ্টি উপেক্ষা করে সাভার উপজেলার বিরুলিয়া ইউনিয়নে করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন, বেকার ও বিপাকে পড়া অসহায় রোজাদারদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছেন সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব।

বুধবার ( ১৩ মে ২০২০) বিকেলে সাভার উপজেলা বিরুলিয়া ইউনিয়নের আক্রাইন উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব ব্যক্তিগত অর্থায়নে ৭’শত হতদরিদ্র রোজাদারদের মাঝে ইফতার বিতরণ করেন।

প্রচন্ড ঝড় এবং বৃষ্টির মাঝেও অসহায় রোজাদারদের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদানে সেখানে ছুটে গিয়েছেন সাভার উপজেলা পরিষদ এর  জনপ্রিয় এ চেয়ারম্যান।

প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে তো আর মানুষের ক্ষুদা বন্ধ থাকবে না, তেমন কথাই জানালেন সুযোগ্য সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব। আর তাই বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও বৃষ্টিতে ভিজে হতদরিদ্র রোজাদারদের জন্য ইফতারের খাবার নিয়ে হাজির হন।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বিরুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজন, ঢাকা জেলা উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সায়েম মোল্লা, সাভার থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসেন, সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ১৯তম রোজার এদিন বিকেলে মাসব্যাপী অসহায় রোজাদারদের মাঝে ইফতার বিতরণের অংশ হিসেবে সাভার উপজেলা চত্তরে ৮’শত অসহায় রোজদারের মাঝে ইফতার বিতরণ করেন সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী  লীগ সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব।

সাভার 

১৩.০৫.২০২০

কাল্পনিক/ বাস্তবতার আলোকে লেখা (গল্পকথা) :

ষাটোর্ধ আমেনা রোজা রেখেছেন, অন্য সময় হলে বাসায় থাকতো কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে অভাব অনটনে পড়ে ঠিকসময়ের অনেক আগেই এসেছিলেন ইফতারের খাবার দেয়া হবে, এই আশা নিয়ে। কিন্তু  আক্রাইন স্কুলে আসবার পরপরই শুরু হয় বৃষ্টি। সেকি যেমন তেমন বৃষ্টি, বৃষ্টির ওমন তান্ডব দেখে আশা-নিরাশার মাঝে বসেছিলেন স্কুল ঘরের এক কোনে। অনেকেই এসেছে, ছোটা ছুটি করছে, কেউ কেউ ওমন বৃষ্টির তান্ডব দেখে চলেও গিয়েছি। তখনও খাবারের গাড়ি এসে পৌছেনি স্কুল মাঠে,আসেনি উপজেলা আওয়ামী লীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক  মঞ্জুরুল আলম রাজীব।

রাজীবকে যারা চেনেন না, তারা হয়তো ভাবছেন ওমন ঝড় বৃষ্টিতে কেউ আবার আসে নাকি ? আর  একজন উপজেলা চেয়ারম্যান, সে তো আসবেই না। হয়তো বড় জোর ইফতারের খাবার পাঠিয়ে দেবে। সে রকম ভাবনাটা ভাবাটাই স্বাভাবিক। যাই হোক, ষাটোর্ধ আমেনা ভীষন ভাবে চাচ্ছেন ইফতারের খাবার আসুক কিন্তু ঝড় থামবার নয়, এরই মধ্যে আমেনার শরীরের কিছু অংশ বৃষ্টির পানিতে ভিজে গেছে। হঠাৎ কোলাহল বেড়ে গেলে, আমেনা একটু নড়ে-চড়ে বসলো। এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখলো কেউ যেন এসেছে, সাথে মনে হচ্ছে অনেক গুলো গাড়ির সারি সারি মিছিল। যাই হোক আমেনা দেখতে চেষ্টা করলো খাবার এসেছে কিনা কিংবা খাবার নামাচ্ছে কিনা। তবে বেশিক্ষণ হয়নি, আমেনা দেখলো বৃষ্টিতে ভিজে বেশ ক’জন খাবার প্যাকেট নামাচ্ছে, বৃষ্টির তান্ডবে মনোবল কিছুটা দমে গেলেও এবার আমেনা যেন শক্তি ফিরে পেল শরীরে, সকলের সাথে সেও পেল খাবার।

খাবার পেয়েই বাড়ির পথে রওনা হবে আমেনা, এমন সময় শুনছিলো, দূর থেকে কে যেন তাকে ডাকছে, বুড়িমা,,,,বুড়িমা বলে। অসহায় আমেনাকে চলে যেতে দেখেছিলো বিচক্ষণ সেই চোখ, এক সময়কার রাজপথের সংগ্রামী লড়াকু সৈনিকের সেই চোখ ঠিকই খুজে নিয়েছিলো অসহায় আমেনাকে। কেউ কিছু বুঝবার আগেই হাতে আরেকটি খাবার প্যাকেট তুলে দিলো, সেই সাথে পকেট থেকে বের করে দিলো হাজার টাকার একটি নোট।

অনেকের মতোই ষাটোর্ধ আমেনাও হতবাক, কোন কিছু বুঝে উঠবার আগেই সবাইকে বলতে শুনলো রাজীব, উপজেলা চেয়ারম্যান রাজীব, তুমি চিনবানা বুড়ি। ও হইলো সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, আমাগো উপজেলার চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব।

ষাটোর্ধ আমেনার অতো সতো বুঝে কাজ নেই, সে কেবল ভাবছে, কখন বাসায় যাবে, সবাই মিলে ইফতার করবে, হাতে এক হাজার টাকার নোট পেয়েছে। ক’দিন খাবার কিনে খেতে পারবে, ওষুধও কেনা যাবে সে টাকা দিয়ে।  বাসায় এসে সবাই মিলে ইফতার করলো। কাপড়ের ভাজে রাখা হাজার টাকার নোট বের করলো আমেনা। সবার চোখ বড় বড় হয়ে গেল, কেবল একটাই প্রশ্ন কে দিলো গো ?  কোথায় পেলে ?

ষাটোর্ধ আমেনা মনে করতে পারছে না, বারবার চেষ্টা করছে, তবু মনে পড়ছে না নাম,  আমেনা খুব করেও বলতে পারেনি কে সে ? কি তার নাম ? । তবে আমেনা নিরবে বিড়বিড় করে বলতে থাকলো, ভালা একজন মানুষ, খুব ভালা একজন মানুষ ।

সাভার

১৪.০৫.২০২০

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *