জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনের পক্ষে বিপক্ষে অভিযোগ নিরপেক্ষ তদন্ত করবে সরকার : শিক্ষা উপমন্ত্রী ।।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনের পক্ষে বিপক্ষে অভিযোগ নিরপেক্ষ তদন্ত করবে সরকার : শিক্ষা উপমন্ত্রী ।।

নিউজ হাঁট ডেস্ক :

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এবং ভিসির পক্ষের অভিযোগ জমা পড়েছে তাই সরকার বস্তুনিষ্ট ও নিরপেক্ষ তদন্ত করবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

 

শনিবার  ( ১৬ নভেম্বর )দুপুরে সাভারের বিরুলিয়ার খাগান এলাকায় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ষষ্ঠ সমাবর্তনে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

এ সময় তিনি আরো বলেন,  আন্দোলনকারিগন উপাচার্যের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন। একই সাথে উপাচার্যের পক্ষ থেকেও আন্দোলনকারীদের বিপক্ষেও মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ পত্র দিয়েছে উপাচার্যের পক্ষে শিক্ষকগন। তাই তদন্তের প্রয়োজনে গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। এসময় শিক্ষকরা বিশবিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন,  জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গুটি কয়েক শিক্ষক শিক্ষার্থী কাসা পিটিয়ে, ঢাক ঢোল বাজিয়ে আন্দোলন করছে। উপাচার্যের বিরুদ্ধে কথা বলে তারা শিক্ষার পরিবেশ ও ছাত্রছাত্রী এবং আমাদের সন্তানদের জীবন নষ্ট করে দেয়ার পায়তারা করছে। আন্দোলনকরা সবার গণতান্ত্রিক অধিকার জানিয়ে তিনি আরও বলেন আন্দোলনকারীরা কিভাবে নিজেরা নিজেদের ব্যক্তি জীবনে কিভাবে কি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচালনার সাথে সম্পক্তা আছে এবং কেকে কোন প্রাইভেট বিশ^বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করাচ্ছেন সেগুলোও আমরা জানি সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা যদি সেগুলো নিয়ে মাঠে নামে তখনতো পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে সৃষ্টি হবে এবং সরকারের কাছে তথ্য আছে পরিকল্পিত ভাবে বিশ^বিদ্যালয় অচলাবস্থা সৃষ্টি করা হচ্ছে বন্ধ থাকা বিশ^বিদ্যালয়ে তালা ভেঙ্গে হলে ঢুকা এগুলো অন্যায় করা হচ্ছে ।

সমাবর্তনে ইউনিভার্সিটির চারটি অনুষদ থেকে সর্বোচ্চ সিজিপিএপ্রাপ্ত মোট নয়জন শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল পান দুজন নওশীন রহমান ও শ্রাবণী।

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে ষষ্ঠ সমাবর্তনে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে মার্কিন দুতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদুত মিজ জোয়েন ওয়্যাগনার,বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.কাজী শহিদুল্লাহ,ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন মোগল, ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড.সহিদ আকতার হুসাইন, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক তাহমিনা আহমেদসহ আরো অনেকে।

উচ্চ শিক্ষায় গুণগত মান ও নেতৃত্বে সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে বর্তমানে প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। চারটি অনুষদ এবং সেসব অনুষদের অধীনে ৯টি প্রোগ্রাম আছে। মানসম্পন্ন শিক্ষা এবং অন্যন্য প্রাতিষ্ঠানিক পরিবেশের কারনে অল্প সময়ের মধ্যে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে। এখান থেকে এরই মধ্যে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী কৃতিত্বের সঙ্গে উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন গ্রহন করেছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নামীদামী বিশ^বিদ্যালয়ের সঙ্গে এই বিশ^বিদ্যালয়ের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম ও ক্রেডিট ট্রান্সফারের ব্যবস্থা আছে।এদিকে সমাবর্তনে শিক্ষার্থীদের আরও উচ্চ শিক্ষায় নিয়ে যাবে বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা।

সাভার

১৬.১১.১৯

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *